ইন্টার মিলান
খেলোয়াড়প্রতি বছরে গড় বেতন: ৫৩ লাখ ডলার
সবচেয়ে বেশি বেতন দেওয়া সেরা ১০ ক্লাবের তালিকায় ইতালির একমাত্র প্রতিনিধি ইন্টার মিলান। গড়ে প্রতি খেলোয়াড়কে বছরে ৫৩ লাখ ডলার বেতন দেয় ক্লাবটি। ক্লাবটিতে সবচেয়ে বেশি বেতন পান আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার লাওতারো মার্তিনেজ, সপ্তাহে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার ডলার।
চেলসি
খেলোয়াড়প্রতি বছরে গড় বেতন: ৫৭ লাখ ডলার
দলবদলে খরচে চেলসির কার্পণ্য ছিল না কোনো দিনই। তবে খেলোয়াড়দের বেতন দেওয়ার ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক কালে চেলসি অন্য পরাশক্তি ইংলিশ ক্লাবগুলোর চেয়ে কিছুটা পিছিয়েই বলা যায়। স্টামফোর্ড ব্রিজে সবচেয়ে বেশি বেতন পান ইংলিশ ফরোয়ার্ড রাহিম স্টার্লিং, সপ্তাহে প্রায় ৩ লাখ ২৫ হাজার ডলার।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
খেলোয়াড়প্রতি বছরে গড় বেতন: ৬৯ লাখ ডলার
মাঠে পারফরম্যান্স ইদানীং যেমনই হোক, খেলোয়াড়দের বেতন দেওয়ার বেলায় বরাবরই উদার ইউনাইটেড। ৩৩ বছর বয়সী কাসেমিরো এখনো ক্লাব থেকে সবচেয়ে বেশি বেতন তোলেন, সপ্তাহে প্রায় ৪ লাখ ৭৫ হাজার ডলার। অধিনায়ক ব্রুনো ফার্নান্দেজ বেতন পান সপ্তাহে প্রায় ৪ লাখ ৭ হাজার ডলার।
লিভারপুল
খেলোয়াড়প্রতি বছরে গড় বেতন: ৭১ লাখ ডলার
সাম্প্রতিক কালে বেশ কিছু তরুণ খেলোয়াড় নিয়েছে লিভারপুল। তারপরেও বেতনের জন্য বড় অঙ্ক খরচ করতে হচ্ছে। বিশেষ করে মোহাম্মদ সালাহ (সপ্তাহে প্রায় ৫ লাখ ৪৩ হাজার ডলার) ও ভার্জিল ফন ডাইকদের (৪ লাখ ৭৫ হাজার ডলার) মতো অভিজ্ঞ তারকাদের বেতন ক্লাবের গড় বেতনটা অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।
আর্সেনাল
খেলোয়াড়প্রতি বছরে গড় বেতন: ৮১ লাখ ডলার
খেলোয়াড় কিনতে এবং ধরে রাখতে হলে ভালো বেতন দিতে হবে, এই বাস্তবতা যেন একটু দেরিতে হলেও মেনে নিয়েছে গানাররা। মিকেল আরতেতার অধীনে গত কয়েক মৌসুমে শিরোপার বড় দাবিদার হয়ে ওঠা আর্সেনালে এখন সবচেয়ে বেশি বেতন পান কাই হাভার্টজ, সপ্তাহে প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজার ডলার। তাঁর পরেই আছেন গ্যাব্রিয়েল জেসুস (৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার)।
পিএসজি
খেলোয়াড়প্রতি বছরে গড় বেতন: ৮২ লাখ ডলার
ফ্রান্সে সবচেয়ে বেশি বেতন দেয় পিএসজি। নেইমার, মেসি আর এমবাপ্পে চলে যাওয়ার পর পিএসজির বেতন খরচ কমেছে বেশ। নইলে হয়তো তালিকায় আরও ওপরেই থাকত ইউরোপের চ্যাম্পিয়নদের নাম। এখন ক্লাবটিতে সবচেয়ে বেশি বেতন পান উসমান দেম্বেলে, সপ্তাহে ৪ লাখ ডলারের মতো।
বায়ার্ন মিউনিখ
খেলোয়াড়প্রতি বছরে গড় বেতন: ৮৩ লাখ ডলার
হ্যারি কেইনকে সপ্তাহে ৪ লাখ ৮০ হাজার ডলারের মতো বেতন দেয় বায়ার্ন মিউনিখ। অভিজ্ঞ ম্যানুয়েল নয়্যার পান ৪ লাখ ডলারের মতো। সব মিলিয়ে বুন্দেসলিগায় বায়ার্নই সবচেয়ে আকর্ষণীয় ক্লাব খেলোয়াড়দের কাছে।
ম্যানচেস্টার সিটি
খেলোয়াড়প্রতি বছরে গড় বেতন: ৮৬ লাখ ডলার
কেভিন ডি ব্রুইনার বিদায়ে ম্যানচেস্টার সিটির ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ওপর থেকে কিছুটা চাপ কমেছে। তারপরেও ইংল্যান্ডে সবচেয়ে বেশি বেতন এখনো সিটিই দিচ্ছে। আর্লিং হলান্ড এখনো প্রতি সপ্তাহে বিশাল অঙ্কের চেক লিখছেন—প্রায় ৭ লাখ ১৩ হাজার ডলার! প্রিমিয়ার লিগেই সবচেয়ে বেশি বেতনের খেলোয়াড় তিনি।
বার্সেলোনা
খেলোয়াড়প্রতি বছরে গড় বেতন: ৯৬ লাখ ডলার
বেতন-ভাতায় অনেক খরচ করে বলে গত কয়েক বছরে নানা সমস্যায় পড়েছে বার্সেলোনা, এই খরচই তাদের আর্থিক টানাপোড়েনের অন্যতম কারণ। তারপরেও খেলোয়াড়দের বেতন কমাতে পারছে না কাতালানরা। লা লিগা, কোপা দেল রে আর স্প্যানিশ সুপার কাপ জেতা দলটিতে সবচেয়ে বেশি বেতন পান রবার্ট লেভানডফস্কি, সপ্তাহে প্রায় ৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার।
রিয়াল মাদ্রিদ
খেলোয়াড়প্রতি বছরে গড় বেতন: ১ কোটি ৩১ লাখ ডলার
বেতনে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া কোনো ক্লাবের পক্ষে সম্ভব ছিল না কখনো, হবেও না হয়তো। এক কিলিয়ান এমবাপ্পেই বেতন পান সপ্তাহে ৭ লাখ ৩ হাজার ডলার। সঙ্গে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র (সপ্তাহে প্রায় ৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার), জুড বেলিংহাম (৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার), ডেভিড আলাবা (৫ লাখ ডলার) নামগুলো যোগ করুন। রিয়ালের এত খরচ কোথায় যায়, আন্দাজ করতে পারবেন।