গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মহাসড়ক পারাপারের সময় দ্রুতগতির যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় মরিয়ম বেগম (৩৫) নামের এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী তিন ঘণ্টা ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন।
আজ সোমবার বেলা তিনটার দিকে মহাসড়কের গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সদরের পান্থাপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মরিয়ম বেগম গোবিন্দগঞ্জের পান্থাপাড়া এলাকার আবদুল হামিদের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, বেলা তিনটার দিকে মরিয়ম বেগম ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক পারাপারের সময় ঢাকা থেকে রংপুরগামী ‘শঠিবাড়ী এক্সপ্রেস’ নামে একটি বাস তাঁকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। বাসটি পালানোর চেষ্টা করলে কিছুদূর পর চৌমাথা মোড়ে যানজটে আটকা পড়ে। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পুলিশ বাস ও চালক শফিকুল ইসলামকে (৩৫) আটক করে। চালকের বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার হরিপুর গ্রামে।
এদিকে ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বাসটি ভাঙচুর ও উপজেলা সদরের পান্থাপাড়া এলাকায় মহাসড়কে বিক্ষোভ করেন। তাঁরা বেলা তিনটা থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। এ সময় উভয় পাশে অসংখ্য যানবাহন আটকা পড়ে। দেখা দেয় তীব্র যানজট। সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ সময় গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। ইউএনও বলেন, মহাসড়ক অবরোধ করে থাকা বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করা হয়েছে। স্থানীয় লোকজনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দুর্ঘটনাস্থলে একটি পদচারী–সেতু নির্মাণের জন্য সড়ক বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাফফর হোসেন মুঠোফোনে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় বাস ও চালককে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।